শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দেশ বিরোধী যে কোন চক্রান্ত দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করবে।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় নগরীর হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড মোড়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিপূর্ব এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমান এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকাধীন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের যৌথ উদ্যোগে র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কোন দলের একক কৃতিত্ব নয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহিদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে, আমাদের স্বাধীনতা অর্জন অনেক বিলম্বিত হতো। সেদিন শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শূন্যতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই মেজর জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহিদ জিয়া শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ক্ষান্ত হননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। শহিদ জিয়াউর রহমান হচ্ছেন একজন শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপি হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার দল।
সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, শহিদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কোন রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেননি। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এবং মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্বের মিথ্যা দাবী করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের মাধ্যমে দুনীতি ও লুটপাট করেছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত বিনা ভোটের মেয়র যারা ছিলেন তারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনকে একটি দেউলিয়া সংস্থায় পরিণত করেছে। সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন মার্কেট, দোকান ও বাণিজ্যিক স্পেসগুলো দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি নগর পিতা হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত গ্রীণ সিটি ও ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
হালিশহর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলম, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, তরুণ বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাঈদ আল নোমান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, পাহাড়তলী থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জিয়া, হালিশহর থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে এক বিশাল ও বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালী হালিশহর নয়াবাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে বড়পুল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।