শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আজ এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অধীন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি), ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (ডব্লিউইডব্লিউবি), প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বিওইএসএল) বাংলাদেশি প্রবাসীদের উন্নতি ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
অভিবাসীদের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের পরিবারের উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গত কয়েক মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ‘
গত কয়েক মাসে আমাদের রেমিটেন্স প্রবাহ ২৬ শতাংশ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ।
ড. নজরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বিদেশগামী কর্মীদের জন্য নথিপত্র প্রক্রিয়াকরণের সময় কমানো এবং কাজের পদ্ধতি সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও বিশেষ অবদান রয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ ও আন্তরিকতায় হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করার জন্য বিদেশে গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজ দেশে (বাংলাদেশে) ফেরার বিরল সুযোগ পেয়েছেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় যেসব প্রবাসী ঝুঁকি নিয়েছিল, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সহায়তায় তাদের পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশের অনেক বড় কোম্পানি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানও তাদের চাকরি দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত না হলেও, প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পাসপোর্টের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আপনারা সবাই জানেন যে পাসপোর্ট রিনিউ করতে না পেরে বাংলাদেশি অভিবাসী অনেক শ্রমিক দেশের বাইরে অনিশ্চয়তার সমুখীন হয়। সরকার ১৫ ডিসেম্বর থেকে এ সব অভিবাসী শ্রমিকদের মেশিন-পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রদান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এ ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীরা প্রাথমিকভাবে অগ্রাধিকার পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিন-চার সপ্তাহ পর সব প্রবাসীরা এ সুবিধা পাবেন।