বাসস
  ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৯
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪১

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জন নিহত

কক্সবাজার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জেলার পেকুয়া উপজেলায় ডাম্প ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন সহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। ওই পরিবারের আরও দুই শিশু আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের হাজীবাজার এলাকায় এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম মাদ্রাসা এলাকার ফিরোজ আহমদ (৪৯), তার স্ত্রী শাহিন আকতার (২৯) ও তাদের ৬ মাস বয়সী সন্তান জাহেদুল ইসলাম, অটোরিকশার চালক পেকুয়ার ধনিয়াকাটা এলাকার মনিরুল মান্নান (২২) এবং উজানটিয়া ইউনিয়নের সোনালি বাজার এলাকার আবদুর রহমান (৩২)। এ ঘটনায় নিহত ফিরোজ-শাহিন দম্পতির আরও দুই সন্তান শাহেদ (৭) ও জান্নাত (৪) আহত হয়েছে। তারা চকরিয়া উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পাঁচজনের মরদেহ পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ডাম্প ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে যাত্রীবাহী অটোরিকশার সঙ্গে ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হন। আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ফিরোজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার তিন সন্তানকে চকরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ৬ মাস বয়সী জাহেদুল মারা যায়। 

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফিরোজ আহমদ চকরিয়া পৌরশহরের হাসপাতাল রোডে একটি মোটর পার্টসের  দোকান ও গ্যারেজে চাকরি করতেন। তিনি কর্মস্থলের পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে সপরিবার সেখানে থাকতেন। 

বাড়ীর মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, ফিরোজ আহমদের স্ত্রী শাহিন আকতার বাসে চড়তে পারেন না। এ কারণে তারা অটোরিকশায় করে সপরিবার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথে দুর্ঘটনার পরপর ফিরোজই তাকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। ফিরোজ বলেছিলেন, বউ-বাচ্চাদের হাসপাতালে নিচ্ছেন, আমি যেন হাসপাতালে যাই। আমি হাসপাতালে যেতে যেতে ফিরোজও মারা যায়।