বাসস
  ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৩

মিয়ানমার ইস্যুতে আজ থাইল্যান্ডে জরুরি বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত

ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের সঙ্গে ব্যাংককে জরুরি বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

থাই সরকার আয়োজিত আজকের এই বৈঠকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, লাওস, চীন এবং কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও ঊর্ধতন কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।বৈঠকে মিয়ানমারের ক্রমবিকাশমান পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।

ঢাকা থেকে যাত্রার আগে তৌহিদ বলেছেন, ‘এই আলোচনা আনুষ্ঠানিক বৈঠক থেকে কিছুটা ভিন্ন ধরনের হবে। আলোচনায় তিনটি প্রধান বিষয় রয়েছে: সীমান্ত, অপরাধ এবং মিয়ানমার পরিস্থিতি।’

বাংলাদেশের প্রাথমিক উদ্বেগ হচ্ছে বর্তমানে দেশে আশ্রিত ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপত্তা ও অধিকার। তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি তৌহিদ পূর্ণব্যক্ত করেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা জানি এটা এমন কোনো সমস্যা নয় যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে, কিন্তু আমাদের একটি বাস্তব সমাধান প্রয়োজন।’

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসা চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের বিষয়ে দু’টি আঞ্চলিক বৈঠকের আয়োজন করবেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বৈঠকের মধ্যে অন্তত একটিতে মিয়ানমারের জান্তা প্রতিনিধিদের একজন অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত অক্টোবরে, থাইল্যান্ড মিয়ানমার, চীন, ভারত, বাংলাদেশ, লাওস, এবং থাইল্যান্ডকে অন্তর্ভূক্ত করে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার প্রস্তাব দেয়-মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া দেশগুলো।

তবে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলমান আলোচনায় অংশ নেবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার ক্রমবর্ধমান সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে এবং জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠিগুলোর কাছ থেকে বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।

রাখাইন রাজ্যের বড় অংশ বর্তমানে আরাকান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে সমগ্র সীমান্ত অঞ্চলে আরাকান আর্মির আধিপত্য রয়েছে। তবে, শুধুমাত্র রাখাইনের রাজধানী সিটওয়ে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মিসর সফরকালে মিয়ামারের ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

মালয়েশিয়ার একজন মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে ইউনূস রাখাইন রাজ্যে তীব্র সহিংসতার কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ৮০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে উল্লেখ করেন।