শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য ট্রানজিট ভিসা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি।
বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য দুবাইয়ের ভিসা জটিলতা দূরীকরণের মাধ্যমে সহজ উপায়ে ট্রানজিট ভিসা ইস্যু করতে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের আহ্বানের প্রেক্ষিতে তিনি একথা জানান।
রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়া বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আগ্রহের কথাও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হবে বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিশ্বাস করে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইউএই রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি আরও বলেন, বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধু রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, নিটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে আগ্রহী, যার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণই উপকৃত হবে।
রাষ্ট্রদূতের এ বিনিয়োগ প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সব সময় বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে বহুমাত্রিক সম্পর্ক বিদ্যমান।
চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ, এর মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য মঙ্গলজনক এমন সব প্রস্তাবকে বর্তমান সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে বলে জানান উপদেষ্টা।
আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বৈঠকে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। এ সময়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।