শিরোনাম
ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : মালবোঝাই ট্রাকসহ বিআরটি প্রকল্পের একটি অস্থায়ী বেইলি সেতু তুরাগ নদের ওপর ভেঙে পড়েছে।
আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে উত্তরা আব্দুল্লাহপুর চৌরাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজে একটি ট্রাক উঠলে ব্রীজটি তুরাগ নদীতে ভেঙে পড়ে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ময়মনসিংহমুখী যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মুহূর্তে নিচ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ আছে। যারা গাজীপুর বা টঙ্গি বাজারে বাসে বা গাড়ি করে যাবেন, তারা উত্তরা বিএনএস সেন্টার থেকে ফ্লাই ওভারে উঠে যাবেন। নিচের অবশিষ্ট ব্রিজগুলোও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এখান দিয়ে না যাওয়াই ভাল।
আব্দুল্লাহ্পুরের টি আই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) মো. মাসুম বাসসকে জানান, ‘শনিবার ভোরে একটি পাথর বোঝাই ট্রাক যাতায়াতকালে বেইলি ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ আব্দুল্লাহপুর অংশটি ভেঙে তুরাগ নদীতে পড়ে যায়। রাত গভীর হওয়াতে সেখানে মানুষ চলাচল ছিল না। এছাড়া গাড়ি চলাচলও অনেক কম ছিলো। তাই কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
রাজধানী ঢাকার প্রবেশ পথ উত্তরা আব্দুল্লাহপুর। তুরাগ নদীর উপর টঙ্গি আব্দুল্লাহপুর সড়কের ব্রিজের মাঝামাঝি জায়গায় গর্ত হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ সেখানে জরুরি ভিত্তিতে ২টি বেইলি সেতু নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আরও ২টি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হলে সেখানে যান চলাচলে জনদুর্ভোগ কিছুটা কমে আসে।
আব্দুল্লাহপুর ব্রিজের উপর নির্মিত ৪টি বেইলি সেতুর মধ্যে ২টি সেতু নষ্ট হয়ে গেলে সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে যানবাহনের পাশাপাশি সেখানে পথচারী চলাচলে চরম অসুবিধা সৃষ্টি হয়। উত্তরা আব্দুল্লাহপুরের বেইলি সেতু ভেঙ্গে পড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা পড়েছেন মহা সংকটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সেতু দুটি দীর্ঘদিনের পুরোনো। বিভিন্ন অংশে আগে থেকেই জোড়াতালি দেওয়া। সেতু দুটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করত। এর মধ্যেই গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহমুখী পাথরবোঝাই একটি ট্রাকসহ সেতুটি নদে ধসে পড়ে। এতে একমুখী সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন হাজার হাজার গণপরিবহন, মালবাহী গাড়ি ও ভারি যানবাহন চলাচল করতে করতে প্রচণ্ড চাপে বেইলি সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর মেরামত না করায় কর্তৃপক্ষের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করছেন এখানকার স্থানীয় অধিবাসী ও যানবাহনের চালকরা।