বাসস
  ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১৭

নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম মজুমদার

চট্টগ্রাম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম উন্নত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য মন্তব্য করে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, কারা যোগ্য কিংবা যোগ্য নন, সেই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের, এটা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। আমাদের কাজ হলো নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া।
 
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠাতে চান না উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আজকে কথা বলেছেন, ওনারাও ব্যবহৃত হতে চান না, তারাও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবেন।’

আগামী  সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবস্থা থাকবে কি না এমন প্রশ্নে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারের আর প্রশ্নই আসে না, ওটা হবে না। নির্বাচন কমিশনও বলেছে, আমরাও একই মত দিয়েছি।’

হলফনামায় তথ্য গোপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের হলফনামায় অনেকরকম ভুয়া তথ্য থাকে, অনেক তথ্য গোপনও করা হয়। আমরা এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ারও পরিকল্পনা করছি। আমাদের প্রস্তাবনা এখনও চুড়ান্ত হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজকের মতবিনিময় সভায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের  প্রতিনিধিরা এখানে একত্রিত হয়েছেন। তাদের সুপারিশ, প্রস্তাব এবং অভিজ্ঞতা শুনেছি। নির্বাচন কমিশন, সংসদ নির্বাচন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোটার তালিকা, রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্রের বিষয়ে, নির্বাচনী অপরাধ, নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। সবার উপরে নাগরিক। তাই আপনাদের মতামতও আপনারা দিতে পারেন।’

আগামী নির্বাচনে কী ধরণের সংস্কার আসতে পারে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ, আবেগ ও উচ্ছ্বাস সেটা আমরা উপলব্ধি করছি। আমরা কোথাও গেলে মানুষ দুটো কথা বলতে চায়, তাদের মনের আকুতি ব্যক্ত করতে চায়। তারা বিভিন্ন প্রস্তাব দিতে চায়। ইমেইলে হাজার হাজার মানুষ মতামত দিচ্ছে। তাদের সবার আকুতি একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, যার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটি একটি ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়। এটা জন-আকাঙ্খা, আমাদেরও আকাঙ্খা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি। মানুষের কাছ থেকে যা শুনেছি এবং আমাদের জ্ঞান, বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে কিছু প্রস্তাব দেব। কিন্তু বাস্তবায়ন আমাদের দায়িত্ব নয়। আমরা আশা করছি রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন এগুলো বাস্তবায়ন করবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা আমাদের কাজ শেষ করতে পারব।’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কার কমিশনের সদস্য স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আবদুল আলীম ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ অনেকে।