শিরোনাম
পঞ্চগড়, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর কেউ ভোট দিতে পারে নাই। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে সকল মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করব। আমরা ভোট দিতে পারলে সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারব এবং সেই লোক পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের জন্য ভাল ভাল কাজ করবে।’
মির্জা ফখরুল আজ রোববার বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া হাইস্কুল মাঠে সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এই জনসভার আয়োজন করে।
দলের পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে জনসভায় চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, দলীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার নওশাদ জমির এবং পঞ্চগড় জেলা আহবায়ক জহিরুল হক কাচ্চু বক্তব্য রাখেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সংস্কার তো চাই। ২০১৬ সালে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিষন-২০৩০ দিয়েছিলেন। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমান দুই বছর আগে ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছিলেন। সেই ৩১ দফাই সংস্কার।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না। তারা চায় তারা যেন ভোট দিতে পারে। আমাদের দেশটা যেন শান্তিতে থাকে। জিনিসপত্রের দাম যেন কম হয়। মারামারি ও চুরি-ডাকাতি যেন না হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ছাত্রদের আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। আমাদের ভাইদের যারা ১৫ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। তারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আবারও আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশটাকে গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১৫ বছর একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বার বার জেলে গেছি। আপনারাও জেলে গেছেন। পালিয়ে থেকেছেন। ঘরে থাকতে পারেননি। সারা বাংলাদেশে তারা ভয়, ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। জোর করে তিনটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসেছিল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভেবেছিলেন কোনদিন ক্ষমতা থেকে যাবেনা। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। সেই নেত্রী যিনি সবসময় বলতেন আমি পালাইনা। আমি ভয় পাইনা। আমি মুজিবের বেটি, আমি পালাইনা। সেই মহিলা তখন জীবন নিয়ে তার নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিয়ে, সারাদেশের অসংখ্য আওয়ামী লীগারদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে। এই হল ফ্যাসিবাদের পরিণতি।