শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ছাত্র-জনতা ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণআন্দোলনে অর্জিত অভূতপূর্ব বিজয় যেন হাতছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আজ সকালে রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ে রূপনগর থানার ৬, ৭, ৯২ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
রূপনগর থানা শ্রমিকদলের আহবায়ক নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক।
থানা শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শামসুল আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, মাহাবুব আলম মন্টু,মহানগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন,ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিকদলের আহবায়ক কাজী শাহ আলম রাজা, সদস্য সচিব কামরুল জামান, যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক লাইলী বেগম, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান,যুগ্ম আহবায়ক মুকলেছুর রহমান আবির, রূপনগর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক,অলিউল হাসনাত তুহিন মাষ্টার,পল্লবী থানা যুবদলের আহবায়ক হাজী নূর সালাম ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ ।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, গত ৫ আগস্টে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তার বিদায় ঘন্টা বাজাতে রাজপথ হয়েছে রক্তাক্ত, অসংখ্য মানুষ শহিদ হয়েছে। জীবন দানের দুঃসাহসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এক অভূতপূর্ব বিজয় ছিনিয়ে এনেছে আমাদের দেশের ছাত্র-জনতা এবং বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এই বিজয় সেদিনই স্বার্থক হবে, যেদিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।
তিনি বলেন,স্বাধীনতার পর গত জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতা এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ গণ-অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে যে হত্যাকান্ড ঘটেছে, যে জীবন উৎসর্গ হয়েছে-এটা ইতিহাসে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনে যারা জীবন ও রক্ত দিয়েছেন, তাদের মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীর সংখ্যা ছিল বেশী। বিএনপির নেতা-কর্মীরা যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্নত্যাগ ও জীবন দান কখনও বৃথা যাবে না।
আমিনুল হক বলেন, গত দেড় দশকের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের মানুষ ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। জনগণ একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় অধীর আগ্রহে বসে আছে। মানুষ ভোট দিতে চায়।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। সেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।