বাসস
  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১৮

এ এল এম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিশন

 

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : ২০০৯ সালে বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুন:তদন্তে এই বাহিনীর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিশনে এ এল এম ফজলুর রহমানকে কমিশনের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে সামরিক বাহিনীর দুজন, সিভিল সার্ভিসের একজন ও পুলিশের একজন কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষক থাকবেন।

আজ সোমবার পিলখানার বিজিবি সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

এ এল এম ফজলুর রহমান ২০০০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ রাইফেলসে থাকাকালে তার নেতৃত্বে ২০০০ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘নাফ যুদ্ধ’ হয়েছিলো। বাংলাদেশের একজন সৈন্যেরও মৃত্যু হয়নি। অথচ মিয়ানমারের ৬ শতাধিক সৈন্য নিহত হয়েছিলো। মিয়ানমার পরাজয় মেনে নিয়ে শান্তিচুক্তি করে।

২০০১ সালের এপ্রিলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র কর্তৃক জোরপূর্বক দখলকৃত সিলেটের পাদুয়া উদ্ধার করেন। যা ১৯৭২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএসএফের দখলে ছিল। ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভারত কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বড়ইবাড়ি বিডিআর ক্যাম্প দখলের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগ্রাসন চালায়। তার নেতৃত্বে বিডিআর বাহিনী অনুপ্রবেশকারী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কে পরাজিত করে যা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ নামে পরিচিত।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পরের মাসেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। তাতে পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়।

২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির ওই রক্তাক্ত বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। বিডিআর বা বাংলাদেশ রাইফেলস থেকে পরিবর্তিত হয়ে এই বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।

তখন বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেড় দশক পর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ দাবি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা পড়েছে। তাতে আসামি হিসাবে শেখ হাসিনা, মইন উ আহমেদের পাশাপাশি আসামি করা হয়েছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ ৫৮ জনকে।