শিরোনাম
রংপুর, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ( বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশকে শোষণ করেছে আওয়ামী লীগ, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রংপুরের পাগলাপীর বাজারে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের হক নষ্ট করেছে তাই এই দলকে ক্ষমা করার অধিকার কারো নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সেনাবাহিনীকে শেষ করে দিল, বিডিআর ধ্বংস করে দিল, মালিক বাড়ি ছেড়ে পালায় না, পালিয়ে গিয়ে দেশের মানুষকে শান্তি দিচ্ছে না, এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ, বিচারিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করেছে। উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য বাংলাদেশ সারাবিশ্বে সুখী। জামায়াত ক্ষমতায় আসলে চাঁদাবাজি করবে না।
জামায়াত নেতা বলেন, খালেদা জিয়া ৩ কোটি টাকা এক একাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে সেভ করে রেখেছিল। কিন্তু টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে তাকে অসহনীয় নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। ফ্যাস্টিস আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে দেশের ২৬ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। জনগণ কোনদিন শেখ হাসিনা কে ক্ষমা করবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সাফ বলেছি, আমরা মেজরিটি-মাইনোরিটি মানি না। এ দেশের যারা নাগরিক, তারা সবাই সমমর্যাদাবান গর্বিত নাগরিক। ছোট্ট একটা দেশ, এত ভাগ কিসের আবার? জাতীয় স্বার্থে আমরা সবাই এক। কারণ, দেশ বাঁচলে আমিও বাঁচব, সবাই বাঁচবে। অশান্তি হলে সবাইকে তা ভোগ করতে হবে। আমরা একটা শান্তিপূর্ণ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
বিগত সরকারের আমলে জামায়াত ইসলামী সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত ১৩ বছর সারা দেশে আমাদের অফিস সিলগালা ছিল। আমাদের দলকে নির্বাচন কমিশন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে এবং প্রতীক ও নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই চাপ আর কোনো দল পায়নি। ৫ আগস্টের আগে দেশে দখলদারি-চাঁদাবাজি হয়েছে। এখনো হচ্ছে। শুধু ফ্ল্যাগ বদল হয়েছে; ডান হাত থেকে বাম হাতে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষ জাতীয় স্বার্থে এক হয়ে কাজ করব, শান্তির বাংলাদেশ গড়ব। আমরা কোনো দায়িত্ব পেলে মালিক হিসেবে নয়, পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করব। আমাদের নেতা-কর্মীদের আগে যে সম্পদ থাকবে, নির্বাচনের পরও সমান থাকবে। নিজের দিকে না তাকিয়ে জনগণের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের কর্মীদের স্পষ্ট বলা হয়েছে, কারও সম্পদের দিকে তাকানো যাবে না। যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
পথ সভায় রংপুর সদর উপজেলার আমীর মোঃ মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আবুল হাসনাত মোঃ আব্দুল হালিম এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।