শিরোনাম
রংপুর, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): রংপুর বিভাগের বহুমাত্রিক দারিদ্র, শিল্পায়নের বন্ধ্যাত্ব ও বাজেট বৈষম্য নিরসনে করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় তৈরি করা হয়েছে বৈষম্যের শ্বেতপত্র ও তা নিরসনের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ।
আজ মঙ্গলবার রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলন রংপুর মহানগরের এনজিও ফোরাম মিলনায়তনে এই কর্মশালার আয়োজন করে । এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ও প্যান এশিয়া প্যাসিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট জাপানের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সুমনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন- বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. শওকত আলী, রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, রংপুরের ডিসি মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, বিএনপি’র পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, রংপুর মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, মহিলা দলের সভানেত্রী এডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের জেলা সভাপতি আকবর হোসেন, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজে’র সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব ও আরপিইউজে সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব আবুল আলা মোহাম্মদ রিসালাত ও মুখপাত্র রিপন আহমেদসহ বৈষম্য বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের নেতৃবৃন্দ।
কর্মশালায় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, রংপুর বিভাগের বৈষম্য দূর করার সময় এসেছে। সকল শ্রেণির মানুষকে নিয়ে জাতীয় কনভেনশন গড়ে তুলতে হবে। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের অধিকার আদায় করে আনতে হবে।
শিল্পায়নের বন্ধ্যাত্ব নিরসনে রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসনের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ‘রংপুর বিভাগ বহুমাত্রিক দারিদ্রে জর্জরিত আর শিল্পায়ন এর মূল কারণ। এ অঞ্চলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় সম্পদ ও মানবসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
সদস্য সচিব আবুল আলা রিসালাত বলেন, বাজেট বরাদ্দে বৈষম্য দূর করে রংপুরে বিশেষায়িত শিল্প এলাকা গড়ে তোলা জরুরি। এতে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব হবে।
দারিদ্র নিরসনে রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসনের মুখপাত্র রিপন আহমেদ বলেন, দারিদ্র দূরীকরণে বাজেট বৈষম্যের প্রভাব অত্যন্ত স্পষ্ট। রংপুর বিভাগে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে যথাযথ বরাদ্দ না থাকায়, মানবসম্পদ উন্নয়নে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
কর্মশালা থেকে একটি শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়। এটি ঢাকায় জাতীয় কর্মশালার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তনে নেওয়া হয়।
এছাড়াও অর্থনীতি সংস্কার কমিটির শ্বেতপত্রে আলাদা চ্যাপ্টার হিসেবেও রংপুর বিভাগের বৈষম্যের সুনির্দিষ্ট তথ্যাবলী সমৃদ্ধ চ্যাপ্টার অন্তর্ভুক্তির দাবিও উঠে আসে কর্মশালায়।