বাসস
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:০৩

জেলখানায় হত্যা : শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলি করে মো. জাভেদ নামে এক কয়েদিকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ, আনিসুল হক, দিলীপ বড়ুয়া, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের খালাতো ভাই ও ঘটনার সময় কারাগারে আহত কয়েদি শিকদার লিটন। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভুক্তোভোগী মারা গেছেন কিনা ও এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী শিকদার লিটন বাসসকে বিষয়টি আজ নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বেলা ১২ টার দিকে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কয়েদিরা আন্দোলন শুরু করে। এ সময় এজাহারনামীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সারাদেশের মতো দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কয়েদিদের ওপর গুলিববর্ষণ করে। গুলিবর্ষণে অনেক কয়েদি আহত এবং মো. জাভেদ নামে একজন কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এসময় কারাগারে থাকা নিহতের খালাতো ভাই সাংবাদিক শিকদার লিটন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বাদীর পরিচয়ে আরও বলা হয়, বাদী লিটন পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ২০১৯ সালে আলোচিত ফরিদপুরে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার চক্রের মূলহোতা শেখ হাসিনার বেয়াই এবং সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সহযোগী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের বিরুদ্ধে নিউজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দিয়ে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়। ৫ আগস্টে গুলিবর্ষণে তিনিও আহত হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।