শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেডে পড়ে থাকা পণ্য পুরোপুরি খালাস না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
গত অক্টোবরে পরিদর্শনে এসে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরকে জঞ্জালমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেডে থাকা গাড়ি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্ক্র্যাপগুলো নিলামের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন নৌ-উপদেষ্টা।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেড পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে উপদেষ্টা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পণ্য নিলামে গতি মন্থর হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে তিন মাস আগে আমি প্রথম যখন আসলাম, যা দেখলাম মোটামুটি সে অবস্থাতেই আছে। কিছু হয়তো কমেছে। কিন্তু আরো কিছু কমাতে পারতো, এটি গতি নয়। এই স্পিডে করলে আরও তিন বছরেও শেষ হবে না। আমি এনবিআরকে (জাতীয় রাস্ব বোর্ড) অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি নিলাম শেষ করতে।’
নৌ-উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্টরা আমার কাছ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে যদি নিলাম কর্মকাণ্ড শেষ না হয়, তাহলে বন্দর চেয়ারম্যানকে বলেছি অ্যাকশনে যেতে।’
এ সময় নৌ-উপদেষ্টা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন, ট্রাক শ্রমিকরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জানান উপদেষ্টাকে। তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
এরপর নৌ-উপদেষ্টা কার অকশান শেডে গিয়ে সেখানে পড়ে থাকা গাড়ির নিলাম কার্যক্রম গতিশীল না হওয়ায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দরে যদি এরকম বছরের পর বছর জিনিস পড়ে থাকে, তাহলে অনিয়ম হবেই। তাই সব অনিয়মগুলো খুঁজে বের করতে হবে। পোর্ট-এক্সপোর্ট যদি সময়মত না করা যায় তাহলে পোর্ট এ যথেষ্ট স্পেস থাকবেনা।
এসময় দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তা মারুফুর রহমান জানান, রিট ও আইনি জটিলতার মধ্যে যেসব ক্ষেত্রে নিলাম কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে তা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন নৌ-উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ১৯৫টা রিট মামলা রয়েছে। এগুলো খালাস করতে গেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। না হলে খালাস করা যাবেনা। অন্যান্য ক্ষেত্রে ১৮৬টি গাড়ি আছে, যা আমাদের রিট মামলা সংশ্লিষ্টতা নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নেব।