শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়।
‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর-পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে’- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো বিভিন্ন উপায়ে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানাভাবে কাজ করছে। একটির পর একটি ঘটনা সারাদেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে, আতঙ্কিত করছে। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় নিমজ্জিত রাখছে।
রিজভী বলেন, ‘সচিবালয় চারদিক বেষ্টিত একটি সুরক্ষিত সরকারি দপ্তর। সেখানে আগুনে ভস্মীভুত হয়ে গেছে অনেক ফাইল। তারমধ্যে সবচেয়ে বির্তকিত দুর্নীতিবাজ সাবেক কেবিনেট সচিব, যার নামে তদন্ত হচ্ছে তার ফাইলও পুড়ে গেছে। এটা তো রহস্যজনক। আজকে সারাদেশের মানুষ সন্দেহ পোষণ করছে। কারণ বুধবার দেখেছি- শেখ হাসিনার নিকটজনদের বেশ কিছু ফাইল তলব করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। এর ফলেই এই ধরনের ঘটনা সচিবালয়ে ঘটেছে। এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়।’
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট (আইডিইবি) মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ’৮৮’র এসএসসি ব্যাচ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘আপনারা স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেননি। বিপ্লবী চেতনা নিয়ে, ছাত্র-জনতার আহুতির স্পিরিটকে লালন করে প্রশাসন সাজানো হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর ও আওয়ামী লীগকে যারা লালন-পালন ও সহযোহিতা করেছে, মুজিব কোট পরে প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারাই আজকে সচিবালয়ের বিভিন্ন পদে বসে আছেন।’
তিনি প্রশ্নের ছলে বলেন, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী এসব কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা কিংবা গণতন্ত্রের বিপ্লবকে ধারণ করবে কেনো! তারা নানা কারসাজির মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন তো গণতন্ত্রের একটা অনুসঙ্গ। আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এটাকে মাইনাস করছেন কেন? সংস্কার চলমান থাকবে, আবার নির্বাচনও হতে হবে। আপনাদের স্ব-স্ব অভিমতগুলো পেশ করবেন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারা সেই সংস্কার নিয়ে কাজ করবে। সেটা না করে আপনারা প্রতিপক্ষ বানাচ্ছেন। নির্বাচনকে আলাদা করে সংস্কারকে বড় করে দেখা হচ্ছে। আমরা মনে করি এটা দুরভিসন্ধিমূলক।’