শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের চারজনসহ মোট ছয়জন নিহতের ঘটনায় দায়ী ঘাতক বাসচালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ শনিবার বিকেলে র্যাব সদরদপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় ব্যাপারী পরিবহন নামে একটি বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে নারী ও শিশুসহ ৬ জনের নির্মম মৃত্যু হয়।
মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনার পর র্যাব ঘাতক চালককে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১০ ও র্যাব-১১’র একটি দল আজ সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকা থেকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক বাস চালক মো. নুরুদ্দিনকে (২৯) গ্রেফতার করে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত বাস চালক দুর্ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার বাড়ি ভোলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগরে। বাবার নাম মো. রফিক।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত নুরুদ্দিন ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল আনুমানিক সোয়া ১০টায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ হতে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বাসটিতে যাত্রীবোঝাই থাকলেও সে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাতে থাকে। পরবর্তীতে সে সকাল আনুমানিক ১১টায় ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেখানে টোল দেয়ার জন্য অপেক্ষারত একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের ৪ জন ও মোটরসাইকেলে থাকা একজন মহিলা এবং সাত বছরের বাচ্চাসহ মোট ৬ নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও ১০ জন গুরুতর আহত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক বাসচালক নুরুদ্দিন জানিয়েছে, সে গত ১০ বছর ধরে বাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ২ বছর যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এছাড়াও বাসটির কোনো ফিটনেস সনদ ছিল না।
দুর্ঘটনার পর সে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে সিএনজি চালিত অটোতে করে আব্দুল্লাহপুর আসে এবং সিএনজিতে করে নারায়ণগঞ্জে তার ফুফাতো বোনের বাসায় চলে যায়। সেখান থেকে র্যাব-১০ ও র্যাব-১১’র একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।