বাসস
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২

উল্লাপাড়ার বড়হর ফুলের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে 

সিরাজগঞ্জ, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ( বাসস) : বিভিন্ন প্রজাতির নানান রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। এর মধ্যে বড়হর ফুলের গ্রাম হিসেবে পরিচিত অর্জন করেছে।

বিশেষ করে গোলাপ, গাঁদা, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, পাতা বাহার, চেরি, কসমস, বেলি, টগর, বিদেশি গোলাপ, মোরগ জবাসহ প্রায় ২০ প্রজাতির নানান রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।

পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখে ফুল ও গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের গুয়াগাঁতী ও বড়হর গ্রামের চাষীরা। মাঠে ফোটা ফুলে হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে। সারাবছর বাজারে ফুলের সরবরাহ থাকলেও বিশেষ দিন গুলোতে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ১৬ থেকে ২০ জন ফুল চাষী রয়েছ এরাই বিভিন্ন জমি লিজ নিয়ে এবং কিছু নার্সারী মালিক তাদের নার্সারীতে ফুল চাষ করে থাকে। তবে এবার প্রায় ২ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার গুয়াগাঁতী গ্রামের ফুল চাষী আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, দিনদিন ফুলের চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বাজারে দাম বেশ ভালো। এবারে প্রায় তিন বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করা হয়েছে। আর এ তিন বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করতে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। আরো ৩ লক্ষাধিক টাকার মত ফুল বিক্রি করা যাবে। বর্তমানে ১ টি দেশি গোলাপ ১৫ টাকা এবং বিদেশি টা ৫০ টাকা হারে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। আগে একসময় এসব জমিতে ধান পাট চাষ করা হতো। কিন্তু এখন ফুলের চাষ করি। কারণ ফুল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। এমনকি পাইকাররা জমিতে এসে ফুল সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ অঞ্চলে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনেক যুবক ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

পৌর শহরের প্রভু ফুল ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী তাপস সরকার জানান,বর্তমানে ফুল দোকানীদের তুলনায় ফুলচাষীরা বেশি লাভবান হচ্ছে। কারণ যারা ফুল দোকানী রয়েছে তারা ১০০ ফুল কিনলে তার মধ্যে ২০ টা ফুল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কিছু ক্ষতি হয়ে থাকে। আর বর্তমান সময়ে  আর্টিফিশিয়াল সব ধরনের ফুল পাওয়ায় এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেই ফুল গুলোই ব্যবহার হয়। এতে করে আমাদের মত ফুল দোকানীদের চাহিদা কমে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন জানান,‘উপজেলায় মোট ১৬ জন নার্সারী মালিক রয়েছে মুলত তারাই ফুল চাষ করে থাকে। এছাড়া কিছু ফুলচাষী রয়েছে তারা জমি লিজ নিয়ে ফুল চাষ করে। বছরে একবার ফুল এবং চারা বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। তাদের দেখাদেখি এখন অনেকেই ফুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়।