শিরোনাম
খাগড়াছড়ি, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস): পাহাড়ে শীতের রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি ও থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। শীতের কুয়াশা ভেদ করে ভোরের আলো ফোটার আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পার্বত্য এ জেলায় এসে পৌঁছেছেন পর্যটকরা। তাদের পদচারণায় মূখর হয়ে উঠেছে জেলা সদর ও বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র।
জেলার অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা ও জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কসহ বিভিন্ন স্পট এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে। পর্যটকরা মুগ্ধ হচ্ছেন ঢেউ খেলানো পাহাড়, ঘন সবুজ বন ও কুয়াশাছন্ন প্রকৃতি দেখে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রয়েছে বিভিন্ন স্বাদের স্থানীয় সুস্বাদু খাবার।
সরেজমিন দেখা যায়, জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখন লোকে লোকারণ্য। পাহাড়ে শীতের তীব্রতা উপভোগ ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা ঘুরে দেখছেন জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিছাং ঝর্ণা, মায়াবিনী লেক, চেঙ্গী নদী প্রভৃতি স্পট। এছাড়াও, রাঙ্গামাটির সাজেক যেতে হলে খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হয়। একারণে যারা সাজেকে ঘুরতে যান, তারাও খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করে যান।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নাজনীন আরা, ফেরদৌসী বেগম ও নাজমুল হাসান তাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, খাগড়াছড়ির সবগুলো স্পট এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ। এছাড়াও বছরের শেষ সময়ে স্কুল-কলেজে চলছে শীতকালীন ছুটি আর পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো সবকিছু মিলিয়ে পর্যটক বাড়ছে খাগড়াছড়িতে।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার জানান, গত একসপ্তাহ থেকে ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। গত ৬ মাস দেশের ও স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটকদের আগমন ঘটছে।
এদিকে পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, খাগড়াছড়িতে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় তাদের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্তরা বলেছেন ছুটির দিন ছাড়াও অনেক পর্যটক আসছেন। তারা আশা করছেন, আসন্ন জানুয়ারি মাসে পর্যটন স্পটগুলেতে পর্যটকদের ভিড় থাকবে।
এদিকে, খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশের প্রস্তুুতির বিষয়টি জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আযুব।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে প্রশাসন। জেলার সবগুলো পর্যটক কেন্দ্রে প্রতিদিন পাঁচহাজার থেকে আট হাজারের মতো পর্যটকের সমাগম হয়। নিরাপত্তার পাশাপাশি পর্যটকদের যেকোনো সমস্যায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।