বাসস
  ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০২
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১০

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, মেয়রসহ ২০ জনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক 

ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ আটজনের দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

এছাড়া সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহীর ৬ সংসদীয় আসনের সাবেক ৮ এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, সাবেক যুগ্মসচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার লুৎফুল্লাহ মাজেদ ও মাহবুব আনাম পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণা, জাল জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মহাপরিচালক জানান, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমসহ সাবেক ৮ এমপির দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অন্য সাবেক এমপিরা হলেন- রাজশাহী-১ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ আসনের ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের আসাদুজ্জামান আসাদ ও আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ, এবং রাজশাহী-৫ আসনের দারা-মুনসুর। এদের বিরুদ্ধে ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ফেলে আত্মগোপনে যাওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সোনা ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগারওয়াল এবং বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি এনামুল হক দোলনের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সোনা চোরাচালান করে হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও তিনি জানান।