শিরোনাম
ঢাকা, ১ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য জানতে চেয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কতিপয় দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ ব্যতীত ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ ও ব্যবহার করছেন। চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে শান্তি অথবা আইনগত পদক্ষেপ এড়ানোর লক্ষ্যে তারা ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে সে সকল দেশে অবস্থান করছেন। এভাবে উক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিবর্গ নিজেদের আইনি পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করাসহ নিজেদের অপকর্ম ঢেকে রাখার প্রয়াস চালাচ্ছেন। এ সকল ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের পাশাপাশি একইসঙ্গে অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে থাকেন। অথচ, তাদের এমন কার্যকলাপ সরকারি চাকুরি আইন, ২০১৮ এর ৪০ ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
মহাপরিচালক বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন পরিচালিত বিভিন্ন অনুসন্ধানকালে এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে, সরকারী কর্মচারীদের এরূপ একাধিক পাসপোর্ট গ্রহণের মূল লক্ষ্যই হলো বাংলাদেশে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ সম্পদ গোপন করে বিদেশে পাচার ও ভোগ করা। তাদের এমন কার্যকলাপ দেশে দুর্নীতির প্রসারে ভূমিকা রাখছে এবং দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এছাড়া, ভিন্ন একটি দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের সরকারি চাকুরির নৈতিক দায়-দায়িত্বের প্রতি তাদের অনাগ্রহ পরিলক্ষিত হয়; যা কোনোক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়।
আক্তার হোসেন বলেন, দণ্ডবিধির ২১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ধারা ২ এবং ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১১০ ধারাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল আইন অনুযায়ী প্রতিরক্ষা বিভাগে কর্মরত সকল কমিশন অফিসার, আদালতে কর্মরত কর্মচারী ও বিচারক সরকারি রাজস্ব খাত থেকে বেতনভুক্ত সকল কর্মচারী, সকল স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত, আধা-সরকারি বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিতে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হন।
চিঠিতে বিভিন্ন সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করা পাবলিক সার্ভেন্টদের পাসপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।