বাসস
  ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২৬
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৪

দুদকের মামলায় পলক-জ্যোতি-হেনরীকে গ্রেফতার আবেদনের শুনানি ৬ জানুয়ারি

ঢাকা, ১ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামলের ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোছা. জান্নাত আরা হেনরীকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে এ আবেদন করা হয়। আদালত তাদের উপস্থিতিতে এ বিষয় শুনানির জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

পলককে গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন। আবেদনে বলা হয়, আসামি পলক যাত্রাবাড়ি থানার এক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আটক আছেন। পলকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা -১ মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলককে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

জ্যোতিকে গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। আবেদনে বলা হয়, আসামি শাফি মোদ্দাছির খান (জ্যোতি), তার পিতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরস্পর যোগসাজশে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০২ টাকা মূল্যের জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজ ভোগ দখলে রাখেন। এছাড়া জ্যোতি নিজ নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা -১ মামলা দায়ের করা হয়েছে। জ্যোতিকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

হেনরীকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ। আবেদনে বলা হয়, আসামি হেনিরী বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক অসদাচারণ কার্যকলাপের মাধ্যমে ৫৭ কোটি ১৩ লাখ,৭ হাজার ২২৩ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি ৩৫টি ব্যাংক একাউন্টে ২০০২ কোটি ৬৬ লাখ ৬৬  হাজার ৫৭৭ টাকা ও ৪১ কোটি ৭৮ লাখ  ৪৬ মার্কিন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ 'দুর্নীতি ও ঘুষ' সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করায় সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা -১ মামলা দায়ের করা হয়েছে। হেনরীকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।