শিরোনাম
সিলেট, ১ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : সিলেটে কৃষি বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, ‘শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষি কাজ করে বাংলাদেশে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন কৃষকরা। এ কারণে তারা কৃষিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাই, কৃষকদের রক্ষায় প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষিতে মনোনিবেশ করতে হবে।’
আজ বুধবার সিলেটে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিলেটের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিটে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) সিলেট অঞ্চল।
কর্মশালায় বক্তারা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে কৃষি শ্রমিকের সংকট বেড়েই চলছে। এর অন্যতম কারণ, বিদেশমুখী যুবসমাজ। তারা কাজের সন্ধানে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন।’
তারা বলেন, ‘শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন খরচও অধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা কৃষি কাজ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে কৃষিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা।’
উৎপাদন কমে গেলে বাংলাদেশে বিশাল জনগোষ্টির খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা ব্যাহত হবে জানিয়ে বক্তারা কৃষিতে আগ্রহী করতে কম খরচে ও কম পরিশ্রমে বেশি উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে মনোনিবেশের আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সময়োপযোগী একটি পদ্ধতি। এর ফলে সময় এবং আর্থিক ব্যয় অনেকাংশে কমানো সম্ভব। সরকার কৃষি যন্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষকদের জন্য বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থা রেখেছে।’
ডিএই, সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড.মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডিএই খামার বাড়ী ঢাকার সরেজমিন উইং-এর পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দিন আহমদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডিএই সিলেট-এর উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, ডিএই সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার জালাল উদ্দিন সরকার, বারি, আকবরপুর, মৌলভীবাজারের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, ডিএই সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্থানীয় কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি ও যন্ত্র ব্যবহারকারী কৃষকরা।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাশরেফুল আলমের পরিচালনায় কর্মশালার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন কৃষি অফিসার তৌফিক হোসেন খান, গীতা পাঠ করেন মনোরঞ্জন অধিকারী, উপজেলা কৃষি অফিসার, দিরাই। স্বাগত বক্তব্য দেন, প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক শফিকুল আলম।