বাসস
  ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৩

বাগেরহাট কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত 

বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: বাসস

বাগেরহাট, ২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): জেলার কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। রোগীরা  সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে যেতে হচ্ছে জেলা শহরের প্রাইভেট ক্লিনিকে। সেখানে তারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পুরোপুরি রোগ মুক্ত হতে পারছে না।

হাসপাতালে যেখানে ১০ জন কন্সালটেন্ট ডাক্তার থাকার কথা, সেখানে মাত্র একজন গাইনি চিকিৎসক আছেন। তবে তিনি ছুটিতে থাকেন। গর্ভবতী ও প্রসুতি মায়েরা চিকিৎসা থেকে  বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক অসহায় মুমুর্ষ রোগী প্রাইভেট ক্লিনিকে অধিক টাকা খরচ করে আর্থিকভাবে হচ্ছেন সর্বশান্ত।

দীর্ঘদিন ধরে মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, এনেস্থেসিয়া, চর্মরোগ যৌনসহ এই হাসপাতালে ১০ জন কন্সালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও গাইনি ডা. মিথিলা ইবনে ইসলাম আছেন দীর্ঘদিন ট্রেনিংয়ের নামে ছুটিতে। আর যেখানে মেডিকেল চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে পদ খালি রয়েছে ৬ জনের। আছেন মাত্র ৪ জন মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেল মোস্তাফিজ, ডা. মনির,শংকর পাইক, আর এম ও মোস্তাফিজুর রহমান স্বাধীন। 

কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে ৫০টি বেড সেখানে অল্প কয়েকজন রোগীর দেখা মেলে। বাসস’র প্রতিনিধি আজ দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে বিশাল আয়তন নিয়ে এই হাসপাতালটি দেখেন ভুতুড়ে। সেখানে কোনো কর্তব্যরত চিকিৎসক নেই। ওই সময়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স রমলা মন্ডলকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে ডিউটিরত মেডিকেল চিকিৎসক রাসেল এসে কথা বলেন। এ সময় একজন মা-সহ তার সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসতে দেখা যায়।কচুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর বাস; তাদের মধ্যে অধিকাংশ নিম্নআয়ের।

হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে বেশ কটি কক্ষে ফাঁকা শয্যায় রোগীদের সাথে আলাপকালে তারা চিকিৎসার ব্যাপারে সমস্যার কথা বলেন। তবে এখানে ডায়রিয়া, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর দেখা মেলে। ৩০ জন নার্সের রোগী দেখতে কেবল এখানে হিমশিম খেতে হয় না কারণ রোগী স্বল্পতার কারণে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। কয়েকজন আয়া-পিয়ন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অভাবে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও মশার উপদ্রব দেখা মেলে।

জেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদী যে অবিলম্বে এ সংকটের সমাধান মিলবে রোগীদের বাইরে যেতে হবে না।