বাসস
  ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩২

দুদকের মামলায় নাটোরের সাবেক এমপি শহিদুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২০ মার্চ

ঢাকা, ২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন দুদক।

বুধবার এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শহিদুল ইসলাম বকুল পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন।

এছাড়া তিনি (বকুল) নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৮টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৪ টাকা জমা ও ১৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ৭১৩ টাকা উত্তোলন অর্থাৎ সর্বমোট ২৯ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ৯৮৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।

আক্তার হোসেন জানান, শহিদুল ইসলাম বকুল মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে-এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অপরাধ করেছেন।

এছাড়া শহিদুল ইসলাম বকুল তার স্ত্রী সায়েরা বানুকে ৩৪ লাখ ৮ হাজার ৭১৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন।

এই সম্পদ ব্যতীত তার নামে আরও অবৈধভাবে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ থাকার সম্ভাবনা থাকায় তাকে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির অনুমোদন দিয়েছে দুদক।