শিরোনাম
ঢাকা, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে ইংরেজি নববর্ষের দিন ট্রাক চাপা দেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই।
এফবিআই জানিয়েছে, হামলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ছিল একজন অবসর প্রাপ্ত মার্কিন সেনা কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আইএসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নাম রাখেন শামসুদ্দিন জব্বার। তিনি একাই হামলা চালিয়েছেন। হামলায় তিনি নিজেও মারা গেছেন।
‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এবং ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এই খবর নিশ্চিত করেছে।
গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এফবিআই-এর সন্ত্রাস বিরোধী বিভাগের সহকারী পরিচালক ক্রিস্টোফার রাইয়া স্পষ্ট করেছেন, কেবলমাত্র একজন সন্দেহভাজন এই হামলায় জড়িত। তিনি হচ্ছেন টেক্সাসের বাসিন্দা শামসুদ্দিন জব্বার (৪২)।
ক্রিস্টোফার রাইয়া বলেছেন, ‘শামসুদ্দিন জব্বার ছাড়া আর কেউ এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে আমরা মনে করি না।’
তবে রাইয়া জোর দিয়ে বলেছেন, তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তিনি বলেছেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই হামলায় জব্বারের কোনো সহযোগী ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সের পর্যটন কেন্দ্র বোরহন স্ট্রিটে নববর্ষ উদযাপনকালে ভিড়ের মধ্যে ট্রাক উঠিয়ে দেন জব্বার। এতে প্রাণ হারায় ১৫ জন। আহত হয়েছে অন্তত ৩৫ জনেরও বেশি।
হামলার পর পালানোর সময় জব্বারের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের গুলি বিনিময় হলে জব্বার নিহত হন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে নিহত জব্বার টেক্সাসের বাসিন্দা এবং এক সময় মার্কিন সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর হিউস্টন থেকে নিউ অরলিন্সে আসেন তিনি। হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফেসবুকে পাঁচটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তিনি ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠি আইএসকে সমর্থন করতেন। এফবিআই এইসব তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে এফবিআই-এর সহকারী পরিচালক রাইয়া বলেছেন, ‘এটি একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। পূর্বপরিকল্পিত এবং জঘন্য কাজ। এফবিআই মনে করে ওই ব্যক্তি স্পষ্টতই আইএস-এর প্রতি অনুপ্রাণিত ছিলেন।’
এছাড়া জব্বারের ট্রাক থেকে কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য ও আইএসের একটি পতাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ।