বাসস
  ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৫
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩১

সুন্দরবনে দুই মাসের জন্য কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ

বাগেরহাট, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : কাঁকড়ার বংশ বৃদ্ধিসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে কাঁকড়া আহরণে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বন বিভাগ।

আজ থেকেই বিশ্বখ্যাত রপ্তানি পণ্য শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আহরণে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এ সময় কোন জেলে ও ব্যবসায়ী কাঁকড়া আহরণ, বিক্রি, সংরক্ষণ বা পরিবহন করতে পারবে না।

বন বিভাগ জানায়, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস হচ্ছে সুন্দরবনে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। এই সময় শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া ডিম ছেড়ে বংশ বৃদ্ধি করে। এই প্রজনন মৌসুমে তারা সংবেদনশীল থাকে। তাই সহজেই কাঁকড়া আহরণ করা যায়। এ অবস্থায় কাঁকড়া ধরা চলতে থাকলে প্রজনন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়ে হুমকির মুখে পড়ে এর বংশ বিস্তার। যা প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে। এ কারণে বন বিভাগ প্রতি বছর জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকে। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বন আইনে অপরাধের আওতায় জেল বা জরিমানা করে থাকে।  

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহম্মদ নূরুল করিম জানান, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বখ্যাত রপ্তানি পণ্য শিলা কাঁকড়া অন্যতম। প্রতিবছর এই ম্যানগ্রোভ বনে পাশ-পারমিট নিয়ে ১০ হাজার জেলে কাঁকড়া আহরণ করে থাকে।

প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া রক্ষা করা না গেলে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে পুরো সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের উপর। সুন্দরবনে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বনবিভাগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এরপরও কেউ যদি এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া আহরণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।