বাসস
  ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩২

ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম অপহরণ মামলার ৫ আসামি রিমান্ডে

ঢাকা, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : পটুয়াখালী জেলার মৌকরণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম ওরফে সেলিমকে (৪৫) অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামির ভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ তাদের ঢাকার চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ ভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামি মোহাম্মদ ফরহাদ (৩৪), তৌফিক রাহাত (২০), রিপন মাহমুদ নয়ন (২৭), মোহাম্মদ দিদারের (২৫) তিনদিন ও মো. আমির হোসেনের (৬৫) একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন দোলেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত দোলেনার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে অপহৃত কাজী রাইসুল ইসলাম ওরফে সেলিমকে উদ্ধার করা হয়। এদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম।

এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

ডিবি-মিরপুর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কাজী রাইসুল ইসলাম ওরফে সেলিম গত ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী হতে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। ১ জানুয়ারি সকাল ৬টায় তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, তাকে বহনকারী বাসটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ইকুরিয়া বিআরটিএ-এর সামনে এসে পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন লোক বাসে উঠে বাসের ড্রাইভার, হেলপার ও অন্যান্য যাত্রীদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোর করে নামিয়ে একটি প্রাইভেটকারে করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে আটক করে রেখেছে। অপহরণকারীদের একজন তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে তার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওই সময় অপহৃত ব্যক্তির স্ত্রী আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রিন লাইনের কাউন্টারে গিয়ে ওই বাসের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তারা জানায়, ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় বাসটি ইকুরিয়া বিআরটিএ-এর সামনে থামলে একজন যাত্রী বাস হতে নামে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জন লোক বাসে উঠে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।  

অপহৃত ব্যক্তির স্ত্রী অপহরণের বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানালে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারীদের শনাক্ত করে।

গ্রেফতারকৃতরা জানায়, অপহৃত সেলিমের পরিবারের কাছে তারা ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।