শিরোনাম
সাতক্ষীরা, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন যাবত শীত আর কুয়াশার সাথে সাথে বইছে হিমেল হাওয়া।
ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। তবে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে কুয়াশা।
আজ শনিবার দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত সূর্যের কোন দেখা মেলেনি। তীব্র শীতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ গুলো। প্রচণ্ড শীতে আয়-রোজগার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের এসব মানুষেরা। গরম কাপড় ছাড়া সাধারণত কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারছেনা। এদিকে, বৃদ্ধি পেয়েছে শীত জনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা পড়েছে ভোগান্তিতে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, আজ ভোর ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতার পরিমান ছিল ৯৮ শতাংশ।
সাতক্ষীরার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (শিশু বিশেষজ্ঞ) ডা. সামছুর রহমান জানান, প্রতিদিনই শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে। বিশেষ করে কোল্ড ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ঠ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে তারা।
তিনি আরো জানান, এই শীতে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঠাণ্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।