শিরোনাম
ঢাকা, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : প্রবীণ শ্রমিক নেতা ও ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) সভাপতি এবং বিলস্ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুল্লাহ চৌধুরীকে যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
আজ বাদ জোহর জানাজা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ডেমরাস্থ স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এরআগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তাকে সর্বস্তরের শ্রমিক জনতার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহম্মেদ, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)-এর পক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের পক্ষে আবুল কালাম আজাদসহ স্কপ নেতৃবৃন্দ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার নেতৃবৃন্দ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরআগে সকাল ৮টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কার্যালয়ের সামনের অস্থায়ী বেদিতে কমরেড শহীদুল্লাহ চৌধুরী মরদেহে পার্টির নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আবুল হোসাইন ও জাকির হোসেন রাজু বীর মুক্তিযোদ্ধা সহীদুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর ডেমরাস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী ও চার ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ বাসসকে জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তার মরদেহ নেয়া হয় এবং সর্বস্তরের শ্রমিক জনতার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান।
১৯৬৪ সালে লতিফ বাওয়ানী জুট মিলে সাধারণ শ্রমিক হিসেবে যোগ দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুল্লাহ চৌধুরী। এরপর পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। দেশের প্রতিটি গণ-আন্দোলনে শ্রমিক-জনতার নেতা হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।
বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।