বাসস
  ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০৬

সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার, পুলিশ জনগণকে সেবা দিতে বাধ্য: নজরুল ইসলাম

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম। ছবি: ডিএমপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে নেওয়া

ঢাকা, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার, পুলিশ জনগণকে সেবা দিতে বাধ্য। কাঙ্ক্ষিত মাত্রার সেবা পেতে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।

আজ রোববার রাজধানীর শাহজাহানপুরের মাহবুব আলী মিলনায়তনে শাহজাহানপুর থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বৈষম্য থেকে উত্তরণের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি তৈরি করেছে আমাদের তরুণ সমাজ। জুলাই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্বপ্নগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন পুলিশ, নতুন আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নতুন রাজনীতি তথা সর্বোপুরি একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক নাগরিককে তার নিজের অবস্থানে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মো. মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, হাজারো শহিদ ও আহতদের রক্তের দিকে তাকিয়ে আমাদের পারস্পরিক মতভেদ ভুলে যেতে হবে। ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলতে হবে।

শাহজাহানপুর থানার বিশিষ্ট নাগরিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পুলিশকে দেখতে চাই। দেখতে চাই পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে। পুলিশকে অবশ্যই ‘দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন’ নীতি মেনে চলতে হবে।

সমাজকর্মী নাহিদ জামান বলেন, শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধ নির্মূল করতে হবে।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এরপর গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলীর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় মতিঝিল বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতারা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।