বাসস
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫০

দিনাজপুরে সেতাবগঞ্জ চিনিকল চালুর কার্যক্রম শুরু

সেতাবগঞ্জ চিনিকল। ছবি: বাসস

দিনাজপুর, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকায় অবস্থিত সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেডের চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় বৃহৎ এই চিনিকল শিল্পকারখানা। চিনিকলটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। 

চিনিকলটি উৎপাদনে যেতে প্রায়  দু'বছর সময় লাগবে। মিলে আবার উৎপাদন শুরু হলে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হবে, তাই খুশি স্থানীয়রা। 

গতকাল রোববার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল বাশার।

তিনি বলেন, ১৯৩৩ সালে ৩ হাজার ৭৮৩ একর জমির ওপর বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ চিনিকল স্থাপন করা হয়। ১৯৮২ সালে এটি আধুনিকীকরণ করা হয়েছিল। এই কলে চিনি ছাড়াও তৈরি হতো জৈব সার, চিটাগুড় ও মন্ডা। লোকসানের মুখে ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় চিনিকলটি। এতে বিপাকে পড়েন আখচাষীসহ সংশ্লিষ্ট ৬ হাজার শ্রমিক এবং চিনিকলের ১ হাজার ৯৬ জন কর্মী। 

স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ আলী বলেন, এই সুগার মিলে আমার বাপ-দাদা কাজ করেছেন, আমি নিজেও কাজ করেছি। গত ৪ বছর ধরে সুগার মিল বন্ধ থাকায় আমার বেহাল দূরদশা। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার আবারও মিলটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। চিনিকলটি পুনরায় চালু হলে আমরা আবারও নতুন জীবন পাব।

মিলের কয়েক জন শ্রমিক বলেন, আমাদের অন্য কোনো কাজ নেই। এই মিলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমরা একেবারে অচল হয়ে পড়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আবারও মিলটি চালু করবে, এই ঘোষণায় আমরা উৎফুল। এলাকায় চাষীরা জমিতে আখ চাষ শুরু করেছেন। চাষীরা বলছেন মিল চালু হলে আমাদের আর কোনো চিন্তা থাকবে না। আমরা আখ চাষ করে পুরো দমে কাজ করতে পারবো।আমাদের সংসারের সব কষ্ট দূর হবে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, মিল চালু করার বিষয়টি পর্যাপ্ত আখ চাষের ওপর নির্ভর করছে ইতোমধ্যে কৃষকরা আখ চাষ শুরু করেছেন। চাহিদা মোতাবেক আখ চাষ করা হবে। সরকারি ঘোষণা আসার পর থেকেই মিলটি চালু করতে মেরামত করার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে এবং খুব শিগগিরই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। মিল চালু করতে ১ হাজার ৯৬ জন লোকের প্রয়োজন। আশা করছি, আগামী প্রায় দু'বছরের মধ্যে মিল চালু করতে সকল কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।