বাসস
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৪

শহিদ ও আহতের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সরকারি মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আপনারা জানেন সাম্প্রতিক আন্দোলনে ৩৯ জন দুই চোখ-ই হারিয়েছে। তারা এই দুনিয়াটা চোখে আর দেখতে পাবে না। তারা তাদের সন্তান ও বাবা-মাকে  দেখতে পাবে না। কীসের জন্য তাদের এই অপরিমেয় আত্মত্যাগ? শুধু এই দেশটাকে পরিবর্তন করার জন্য। গণঅভ্যুত্থানে শহিদ এবং আহতের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন করে যাত্রা শুরু হয়েছে।’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে যেসব অন্যায়, অনিয়ম হয়েছে তা আর ভবিষ্যতে সহ্য করা হবে না। আমরা অতীতকে ভুলে সামনে এগিয়ে যাবো। কিন্তু কেউ যদি আগে গুরুতর অন্যায়, অনিয়ম করে থাকেন সেটা আমরা ভুলব না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, ইডিসিএল নিয়ে নানা অনিয়মের কথা পত্রিকায় এসেছে। এই যে এতগুলো ছেলে জীবন দিল, আত্মত্যাগ করলো, তাদের কথা স্মরণ করে আসুন আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে পরিবর্তন করি। যাতে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনো কথা না ওঠে। কাজেই এই প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজাতে হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ইডিসিএলকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে দক্ষ এবং এফিসিয়েন্ট হতে হবে। ইডিসিএল যে দামে ওষুধ বিক্রি করে তার চেয়ে কম দামে মার্কেটে ওষুধ পাওয়া গেলে কেন ইডিসিএল থেকে ওষুধ কিনবে?  আপনাদের কোয়ালিটি কম্প্রোমাইজ করতে বলা হচ্ছে না কিন্তু আপনাদের এফিশিয়েন্সি বাড়াতে হবে।  

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। এটা সরকারের কমিটমেন্ট। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার প্রধান উপাদান হচ্ছে মেডিসিন কাভারেজ।  ৬৭ থেকে ৭০ শতাংশ আউট অফ পকেট ব্যয় হচ্ছে ওষুধ ব্যয়। এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড ভালোভাবে প্রোডাক্ট তৈরি ও অব্যাহতভাবে ওষুধ সরবরাহ করতে পারলে বাংলাদেশের পুরো মার্কেটের ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এফিশিয়েন্সি বাড়বে। 

মতবিনিময় সভায় ইডিসিএলের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ইডিসিএলের নবনিযুক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সামাদ মৃধা। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন খানসহ ইডিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মতবিনিময় সভা শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম সরজমিনে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (কেন্দ্রীয় ঔষধাগার) পরিদর্শন করেন।