বাসস
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১০

এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অটোরিক্সা কিনতে ১ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী শিল্পীকে (১৯) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী মো. শাহ আলমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।  

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

আজ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৮-৯ মাস আগে শিল্পীর সঙ্গে শাহ আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শিল্পী শ্বশুড় বাড়ি থাকলেও হত্যাকান্ডের কিছুদিন আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ স্বামীর সঙ্গে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তারা।

বিয়ের পর থেকে ব্যবসার জন্য শিল্পীর কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে আসছিল শাহ আলম। কিন্তু টাকা দিতে না পারলেও সংসারের কথা চিন্তা করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করে আসছিলেন শিল্পী। এরপর ২০২১ সালের ২৯ মার্চ বড় বোন দোলনা যাত্রাবাড়ীতে শিল্পীর বাসায় গেলে শোয়ার ঘরে তাকে নড়াচড়া বিহীন শুয়ে থাকতে দেখেন। পরে সবাইকে খবর দিলে জানা যায়, শিল্পীকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে তার স্বামী শাহ আলম। ওইদিনই ২০২১ সালের ২৯ মার্চ ভুক্তভোগী শিল্পীর মা আলেয়া খাতুন ওরফে ছামিরুন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় শাহ আলমকে।

মামলার পরদিন ২০২১ সালের ৩০ মার্চ আসামি শাহ আলম এ মামলায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তিনি শিল্পীকে হত্যার দায় স্বীকার করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেন।

মামলাটি তদন্ত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মনিবুর রহমান সুজন ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর শাহ আলমকে একমাত্র অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালীন ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।