বাসস
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২৬
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪০

পুলিশ হেফাজতে জামায়াত কর্মীর পঙ্গুত্ববরণ: শেখ হাসিনাসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: বাসস

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : ২০১৩ সালে পুলিশ হেফাজতে শেরেবাংলা নগর থানা হেফাজতে জামায়াতের কর্মী আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া (৫৫) পঙ্গুত্ববরণ করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী ভুক্তভোগী আলমগীর লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার উত্তর রায়পুর গ্রামের মরহুম আমিন উল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে।

গতকাল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালতে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী আলমগীর। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

আজ সোমবার আদালতের পেশকার শিব শংকর বাসস'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার উল্লেখ যোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, হাসানুল হক ইনু, হাছান মাহমুদ, আমীর হোসেন আমু, দিলীপ বড়ুয়া, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, রাশেদ খান মেনন, শ ম রেজাউল করিম, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, বেনজির আহমেদ, হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ, ডিএমপি সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুরিন আফরোজ, ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. আব্দুল্লাহ আবু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, একাত্তর টিভির শাকিল আহমেদ, ফারজানা রুপা, মোজাম্মেল হক বাবু, এটিএন নিউজের মুন্নী সাহা, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সুভাষ সিংহ রায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন ভূঁইয়া ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে মিরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফার্মগেটের তেজগাঁও কলেজের সামনে যান। ওইদিন হরতালের সমর্থনে বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। এসময় শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ, আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলকারী ও পথচারী লোকজনদের উপর নির্বিচাররে গুলি বর্ষণ করে। একপর্যায়ে মিছিলকারীরা ছোটাছুটি শুরু করলে পুলিশ পথচারী ও মিছিলকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারধর করে আটক করেছিল।

এরপর পুলিশ প্রায় ১১ জন পথাচারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। যাদের মধ্যে মামলার বাদী মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফাহাদ, মাইন উদ্দিন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসমাইল, রাফাত, আব্দুস শহীদ ও আব্দুল বাসেতসহ ছয়-সাত জনকে পুলিশ হাত-পা বেঁধে নির্বিচারে গুলি করে। এর মধ্যে বাদী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেইন ভূঁইয়া (৫৫) এবং অপর ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফাহাদ (৩০) পুলিশের গুলিতে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান।