বাসস
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:০৯

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ডিপিডিসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে দুদকের অভিযান

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪টি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।  

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে ডিপিডিসি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ সংক্রান্ত নথি অবৈধভাবে আটকে রাখা ও অর্থের বিনিময়ে মিটার প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। 

অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম দর্শনার্থী ও গ্রাহক রেজিস্ট্রার বই, নতুন সংযোগ স্থাপনের আবেদনপত্র, বিভিন্ন কাস্টমার প্রোফাইল, বিলের কপি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। অভিযানকালে ওই অফিসে কর্মরত কয়েকজন ব্যক্তির বক্তব্য ও তাৎক্ষণিকভাবে সেবা নিতে আগত গ্রাহকদের বক্তব্য শোনেন। রেকর্ডকৃত বক্তব্য ও সংগ্রহকৃত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা সাপেক্ষে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এদিকে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলাধীন নঙ্গিনাবাড়ী হায়াতুননেছা মহিলা মাদরাসা ও নঙ্গিনাবাড়ী জামে মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের টাংগাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে টিম উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতে নাগরপুর উপজেলার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপির আওতায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় বাস্তবায়িত ৭৪টি প্রকল্পের মধ্যে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিধায় প্রকল্পের কাজ না করে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। প্রকল্পের অধীন অন্যান্য কাজের রেকর্ডপত্র সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের চাহিদাপত্র প্রদান করে দুদক টিম। 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামার এবং সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ এবং গোবর ও গাছ বিক্রয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ কর্তৃক একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রাদি জব্দ ও সংগ্রহ করে। রেকর্ডপত্র বিশ্লেষনে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। 

এদিকে রাজধানীর ধানমন্ডির কাকলি হাই স্কুল এন্ড কলেজে মাস্টার্সের জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেয়াসহ কলেজ পরিচালনায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে কাকলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হয়। তথ্যাবলির প্রাথমিক যাচাইয়ে অভিযোগসমূহের সত্যতা রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিস্তারিত পর্যালোচনাপূর্বক টিম কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।