শিরোনাম
রাঙ্গামাটি, ৭জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : শীতে পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকাসহ সড়কের পাশে পাশে (ফুটপাতে) পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে।
স্থানীয়রাসহ রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকরা প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পিঠা খেতে এসব অস্থায়ী দোকানে ভিড় জমায়। তবে এসব পিঠার দোকানে পুরুষের চেয়ে নারী ব্যবসায়ীদের সংখ্যাই বেশী।
এসব নারী ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কোরোসিনের চুলা নিয়ে চিতই পিঠা ও সাদা ও লাল বিন্নি চালের ভাপা পিঠা, বিভিন্ন ধরনের চিকেন ফ্রাইসহ পাহাড়ী নানা ধরনের খাবার বিক্রি করছেন।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০-১১ টা পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি। প্রতিটি দোকানেই দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এসব দোকানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হরেক রকমের পিঠা রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাওয়ার পাশাপাশি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাসা-বাড়িতেও।
জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের ফুটপাত ছাড়াও শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে ভাসমান বিক্রেতারা পিঠা বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দোকানের সংখ্যাও। রাঙ্গামাটি চিং হ্লা মং মারি স্টেডিয়ামের সামনে পিঠা বিক্রেতা সঞ্চিতা চাকমা বাসসকে জানান, প্রতিদিন তিনি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী চালের গুড়া, খেজুরের গুড়, নারিকেল দিয়ে ভাঁপা পিঠাসহ কয়েক ধরনের পিঠা তৈরি করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। প্রতিটি বড় ভাঁপা পিঠা ১৫ থেকে ২০টাকা ও চিতই পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
দৈনিক তিনি তিন থেকে চার হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে দৈনিক তার লাভ হয় ১২শ টাকা থেকে ১৫ টাকা। সঞ্চিতা চাকমা ছাড়াও এ শীতে স্টেডিয়ামের পুরো এলাকা জুড়েই বসেছ পিঠাসহ বিভিন্ন অস্থায়ী খাবারের দোকান।
স্টেডিয়াম ছাড়াও এ পৌষের শীতে জেলা শহরের পাবলিক হেলথ অফিস এলাকা, রিজার্ভ বাজার শহিদ মিনার এলাকা, তবলছড়ি আনন্দ বিহার এলাকা, কোতয়ালী থানা এলাকা, বনরুপা ফরেস্ট কলোনী এলাকা, আসামবস্তী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকাসহ জেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ের ফুটপাত ও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তার মোড়ে পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি হচ্ছে।
শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় পরিবার নিয়ে পিঠা খেতে লিটন শীল বাসসকে বলেন, শীতের দিনে বাড়িতে দাদি, মা-চাচিরা তাদেরকে হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারনে এখন আর তেমন পিঠা বানানো হয় না। শীত মৌসুমে শহরের এসব অস্থায়ী দোকানের শীতকালিন পিঠা আমাদের পিঠার চাহিদা পূরণ করছে এবং পিঠাগুলো অনেক সুস্বাদু। সুযোগ পেলেই আমরা এখান থেকে চিতই পিঠা ও ভাঁপা পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি আমরা বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জন্যও কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
শীত মৌসুমে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের আগমন বাড়ায় এসব মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও পিঠা খেতে ভিড় করছেন এসব পিঠার দোকানে। শীত মৌসুমে পর্যটন শহর রাঙ্গামাটিতে নতুনভাবে পিঠা ব্যবসাও এক ধরনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।