বাসস
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৫
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত একশ’ জন পাচ্ছেন পুলিশের চাকরি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) ঢাকার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের মধ্যে একশ’ জনকে পুলিশের চাকরি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এই বিষয়ে একটা প্রপোজাল পাঠিয়েছি। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘একেকজন একেকভাবে আহত হয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে একশ’ জনকে পুলিশ বাহিনীতে নিব। দ্রুত এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করবো। আপাতত ১০০ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি পরবর্তীতে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। আপাতত পুলিশে শুরু করছি পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সকল ডিপার্টমেন্টে এটা করে দিব।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ১ হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম যে বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করা। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাইবেন কিন্তু ওই রকম সংখ্যা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০ থেকে ৬০ জনের মত পেয়েছি। তবে আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিং এর বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদেরকে সময়টা কম দিয়েছি । তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের একটা সম্মানিও দেওয়া হচ্ছে। তারা রাস্তায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা কাজ করবে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের আমলে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। মানিলন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। সিআইডি প্রধানকে বলেছি, তার প্রথম কাজ হবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ করা। বিগত সরকারের আমলে  মানিলন্ডারিং সব থেকে বেশি হয়েছে। সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছি মানিলন্ডারিং এর মামলাগুলোর প্রতিবেদন যেন দ্রুত দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘তদন্তের নামে সময়ক্ষেপন লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই যে কারা কারা মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত। যদি তদন্তের নামে দুই তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার কোনো কার্যকারিতা থাকে না।’