বাসস
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩২

রিমান্ডে তিন ভুয়া দুদক কর্মকর্তা

ফাইল ছবি

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয় থেকে গ্রেফতারকৃত তিনজন ভুয়া দুদক কর্মকর্তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রিমান্ডকৃতরা হলেন- কথিত ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থার’ নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সম্রাট, সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান ও পটুয়াখালীর সোলাইমান মুফতি।

তাদের আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান শেখ তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদি হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিগণ ভুয়া দুদক কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের নির্দেশিত হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আসামি মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হানের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থা’ [ঠিকানা : ৮৫ নয়া পল্টন (৪র্থ তলা)], নামীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুরূপ প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দুদকের সহযোগী বাহিনী পরিচয় প্রদান করে প্রতারণা করে থাকেন। দুদকের অনুরূপ তাদের নিজস্ব লোগো সংবলিত ইউনিফর্ম, ছবিযুক্ত আইডি কার্ড পরিধানপূর্বক বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ দুই শতাধিক বেসরকারি স্থানে আইন বহির্ভূত অভিযান পরিচালনা করেন।

এজাহারে বলা হয়, গত ১১ নভেম্বর হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুদকের ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিযান পরিচালনা করে কর্তব্যরত সরকারি কর্মচারীদেরকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মো. সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনকে তাৎক্ষণিক বিচারের নামে আইনবহির্ভূতভাবে জন প্রতি ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং তা আত্মসাৎ করেন। এখন পর্যন্ত চক্রটি সর্বমোট ১৫৩টি স্থানে অভিযান পরিচালনাসহ সর্বমোট দুই শতাধিক স্থানে প্রকাশ্যে বিচারের নামে চাঁদাবাজি করেছে।