শিরোনাম
ঢাকা, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫(বাসস): জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে জানান, আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলা তিনটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে মো. সাদেক খানের নামে মোট ৯ কোটি ৮৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪৭ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। আয়কর নথি পর্যালোচনায় সাদেক খানের সর্বমোট-২ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩ টাকা ব্যয় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তার অর্জিত মোট সম্পদের মূল্য ১৪ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৮ টাকা। অর্থাৎ তার অর্জিত মোট সম্পদ-১৪ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৮ টাকার বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়- ৬ কোটি ৮৫ লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ টাকা। এক্ষেত্রে সাদেক খানের দখলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকা। যা দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া সাদেক খান জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচারণের মাধ্যমে তার নিজ ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সার্বিক পর্যালোচনায়,সাদেক খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা রুজ করা হয়।
সাদেক খানের স্ত্রী ফেরদৌসী খানের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি দায়ের করে দুদক। এই মামলায় সাদেক খানকেও আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়, সাদেক খানের স্ত্রী ফেরদৌসী খানের জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা। যা দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া ফেরদৌসী খানের নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলন বাবদ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করা হয়। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা এবং স্বামী মো. সাদেক খানের অবৈধ পন্থায় উপার্জিত সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরকরণে সহায়তা করেছেন যা দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সার্বিক পর্যালোচনায়, ফেরদৌসী খান ও মো. সাদেক খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
তৃতীয় মামলায় সাদেক খানের ছেলে ফাহিম সাদেক খানকে আসামি করা হয়। এই মামলায়ও সাদেক খানকে আসামি করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, ফাহিম সাদেক খানের দখলে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকা। যা দুর্নীতি দমন কমিশন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া তার নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৯ টাকা জমা ও ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৭২৮ টাকা উত্তোলন বাবদ মোট ৩৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৮ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করা হয়। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়াও পিতা মো. সাদেক খানের অবৈধ পন্থায় উপার্জিত সম্পদ সম্পদ হস্তান্তর,রূপান্তর ও স্থানান্তরকরণে সহায়তা করেছেন যা দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সার্বিক পর্যালোচনায়, ফাহিম সাদেক খান ও মো. সাদেক খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা করা হয়।