বাসস
  ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৪

দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে 

দিনাজপুর , ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : উত্তরের জনপদ দিনাজপুরে গত কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় শুরু হয়েছে জনজীবনে দুর্ভোগ ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হচ্ছে। এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

ঘন কুয়াশা ও  হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায়, শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। দিনাজপুরে আগামী দু-তিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ ৯ জানুয়ারি থেকে আবার মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে । একই সঙ্গে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর অঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন। এক সপ্তাহ দেশজুড়ে এ শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রটি বলেছেন, শৈত্যপ্রবাহ শুরুর আগে দেশের উত্তরাঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পরপরই আবার তাপমাত্রা কমতে পারে। তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। রংপুর বিভাগের কোথাও তাপমাত্রা ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন।

শীতের তীব্রতা নিবারণে শহর ও গ্রাম অঞ্চলের গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। বাজারগুলো থেকে সব ধরনের মানুষ নিজেদের চাহিদা মত গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন।

জেলায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন শ্রেণী পেশা, সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে শীত বস্ত্র বিতরণ চলমান রয়েছে। দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজ এর সভাপতি রেজা হুমায়ূন ফারুক চৌধুরী শামীম জানান, তাদের পক্ষ হতে গত কয়েক দিনে প্রায় ৭ হাজার পিস কম্বল ও ৫ হাজার পিস সোয়েটার জ্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।

জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক ও মনজুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত ভাবে শীতার্তদের মাধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন।

এছাড়া জেলায় ডাচবাংলা ব্যাংকসহ অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংক শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি ভাবে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার পিস কম্বল ও ১৫ হাজার পিস সোয়েটার-জ্যাকেট এবং শিশু পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আরো শীতবস্ত্র চাহিদায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ই-মেইল বার্তা প্ররণ করা হয়েছে। তিনি বিত্তবান ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলায় শীতার্তদের মাধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।