শিরোনাম
ঢাকা, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বরেণ্য চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার। ২০১৩ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
মুক্তিযুদ্ধর ওপর নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ তারই নির্মাণ। একজন দক্ষ নির্মাতা হিসেবে এ অঙ্গনে তার বিচরণ ছিল চার দশকেরও বেশি সময় ধরে। চলচ্চিত্র পরিচালনা প্রধান ক্ষেত্র হলেও প্রযোজনা ও অভিনয়েও ছিল তার উল্লেখযোগ্য পদচারণা।
প্রয়াত পরিচালক ফতেহ লোহানীর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার মধ্য দিয়ে ১৯৬২ সালে চাষী নজরুল ইসলাম চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৩ সালে তিনি কাজ করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ওবায়দুল হকের সঙ্গে। তিনি একাই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছয়টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। নির্মাণ করেছেন ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
সর্বশেষ তিনি ‘ভুল যদি হয়’ ও ‘অন্তরঙ্গ’ নামের দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। বরেণ্য এই চলচ্চিত্র পরিচালক ২০০৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
১৯৮৬ সালে তিনি ‘শুভদা’ চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৯৭ সালে তিনি ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য একই সম্মাননা অর্জন করেন।
বরেণ্য এই পরিচালক চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন। সর্বশেষ তিনি বাপ্পারাজ পরিচালিত ‘কার্তুজ’ ও সায়মন তারিক পরিচালিত ‘মাটির পরী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
১৯৮৯-৯০, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৩-৯৫ ও ২০০৩-২০০৫ সেশনে চাষী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশের চলচ্চিত্র এবং সমিতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন।