শিরোনাম
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ফিটনেস বিহীন গাড়ীর দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংস্থার সদর দপ্তরে আজ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, অসহনীয় যানজট, অনিয়ন্ত্রিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে সড়ক উপদেষ্টা বিআরটিএ’কে দক্ষ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার আহ্বান জানান এবং বিআরটিএ’র সেবা প্রদান প্রক্রিয়াগুলো আরো সহজ ও জনবান্ধব করার নির্দেশ দেন।
সড়কে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রাথমিক দায় বিআরটিএ-কে নিতে হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরো বলেন, সাধারণ মানুষ বিআরটিএ-এর ওপর বিরক্ত এবং এ অবস্থার উত্তরণে বিআরটিএ-কে জনসাধারণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে।
এসময় উপদেষ্টা বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিআরটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য শোনেন এবং তাদের সেবা প্রদান সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
সড়কে সংঘটিত দুর্ঘটনা এখন থেকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে উল্লেখ করে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভায় উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা এভাবে দায়-দায়িত্বহীনভাবে চলতে পারি না; সড়কে মৃত্যুর দায় আমাদের সবাইকে নিতে হবে। মানুষের জীবন অমূল্য তাই আমাদের সকলকে সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ট্রাস্ট্রি বোর্ড-এর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত অংশীজনেরা সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন এবং সড়ক উপদেষ্টা এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) আব্দুল হাফিজ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) মো. খোদা বখস চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম।
এছাড়াও সভায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র জনতার প্রতিনিধি, পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।