শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ ৪টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আখতারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর অধীনে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শুরুতে সরেজমিনে কয়েকটি প্রকল্প স্থান পরিদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ‘মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প’ -এর আওতায় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর এই তিনটি জেলায় প্রায় সাড়ে ২১ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে নিষ্কাশন সুবিধাসহ সেচ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ এই ৫ অর্থবছরে মোট ২৪৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। পূর্বে সম্পাদিত প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে একই অর্থবছরের একজন ঠিকাদারকে ৫/৬টি কাজের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে বলে টিমের কাছে পরিলক্ষিত হয়।
এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ’ শীর্ষক ৭৩ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ল্যাবের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি এবং বিশেষ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিয়ে কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগে বর্ণিত প্রকল্পের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়।
এ ছাড়া লালমনিরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কুড়িগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ছদ্মবেশে একটি টিম পাসপোর্ট অফিস ও তার আশেপাশে অবস্থান করে সেবা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। অভিযানকালে কয়েকজন দালালসহ অফিসের অভিযুক্ত কর্মচারীকে অবৈধ লেনদেনকালে হাতেনাতে ধরা হয়; তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। পরবর্তীতে টিম দৈবচয়নের ভিত্তিতে আবেদনকারী কয়েকজন সেবা গ্রহীতার সাথে কথা বলে এবং আবেদনের কপিসমূহ যাচাই করে।
নোয়াখালী সদরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পেনশনের ফাইল দীর্ঘদিন আটকে রেখে হয়রানির অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দুদক টিম উপজেলা শিক্ষা অফিসে উপস্থিত বিভিন্ন সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে। পরবর্তীতে টিম অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীদের সাথে পেনশন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের তথ্যাবলি সংগ্রহ করে।
এসব অভিযানের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সংগৃহীত সকল রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানানো হয়।