শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় বুধবার ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সিএনজি চালকদের হামলার ঘটনার মামলায় আজ ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন জুয়েল বাদি হয়ে আজ সকালে সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। পরে পুলিশ এই মামলায় আটক ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এরআগে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, সোহেল হোসেন(৩৫),সোহাগ হোসেন(২৮),জহির উদ্দিন(৫৫), মহিউদ্দিন(৫০),ইছমাইল হোসেন(৩৫), মোশারেফ হোসেন(৩১).জিয়াউর রহমান বাবু(৩১),শিপন হোসেন(২৬), বেলাল হোসেন(৪৭), মিরাজ হোসেন(২১) ও মো.কামাল মোল্লা(৫০)। গ্রেফতারকৃতরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়াডের্র বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, পুলিশের ওপর হামলা-মারধর ও সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। পাশাপাশি গ্রেফতার আসামিকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
জেলায় ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন সিএনজিসহ সড়কে বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করছে। অবৈধ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল থেকে শহরের বাগবাড়ির মেঘনা সড়কের মুখে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান শুরু করে। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কয়েকটি সিএনজি আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে সিএনজি চালকরা ট্রাফিক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ কনস্টেবল দৌড়ে পাশের হাজি মার্কেটে আশ্রয় নেয়। অপর পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত সিএনজি চালকরা লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে অবরুদ্ধ দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।