বাসস
  ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫

তিস্তা ব্যারেজ কমান্ড এলাকায় সেচের পানি দেওয়া শুরু 

তিস্তা ব্যারেজ কমান্ড এলাকায় সেচের পানি দিয়ে ধান লাগাচ্ছেন কৃষকেরা। ছবি: বাসস

রংপুর, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): তিস্তা ব্যারেজ কমান্ড এলাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ক্যানেলগুলোতে সেচের পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে কমান্ড এলাকায় কৃষকরা বোরো চাষে মাঠে নেমে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নেমেছেন তিস্তার সুবিধাভোগী চাষীরা। তারা বলছেন, যদি পানি সঠিকভাবে পাওয়া যায় তাহলে লাখো কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। ফলাবে সোনালী ফসল।

তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইস গেইট বন্ধ রেখে সেচ ক্যানেলে নদীর পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে এবার ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে।

রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ পর্যন্ত সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়। তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার সেচ খালে পানি পেয়ে কৃষকরা বোরো চারা রোপণে নেমে মাঠে নেমে পড়ছে।

গংগাচড়ার চাষী সুজন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জমিতে পানি পেয়েছি, এবার ৪ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি, যদি পানি সঠিকমত পাই তাহলে ভালো ফলন হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মুখ্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমলেশ চন্দ্র রায় বাসসকে জানান, এবার ২০২৫ সালে তিস্তা সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুমের বোরো ধান উৎপাদনে সেচ লক্ষ্যমাত্র ৫৫ হাজার ৭০০ হেক্টর।

তিনি জানান, রংপুর জেলায় ১২ হাজার হেক্টরের মধ্যে তারাগঞ্জ উপজেলায় তিন হাজার হেক্টর, বদরগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর, গঙ্গাচরা উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর ও রংপুর সদরে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দিতে বৃহস্পতিবার থেকে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, তিস্তা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত অন্যতম একটি অভিন্ন নদী।
 
বাপাউবোর উত্তরাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাসসকে জানান, এ প্রকল্পটি বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতার আংশিক ব্যবহার করে রংপুরের ৪টি উপজেলায় সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। নতুন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে এর সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে।