বাসস
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৩

কলাউজান ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবের বিরুদ্ধে ১০ সদস্যের অনাস্থা

চট্টগ্রামে কলাউজান ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ছবি: বাসস

চট্টগ্রাম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : উপজেলার কলাউজান ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম এবং সাংবাদিক ওমর ফারুক মোহাম্মদ মাসুম ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়ক এইচআর শহীদের ওপর সশস্ত্র হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে অনাস্থা জানিয়েছেন ১০ ওয়ার্ড সদস্য।

অনাস্থা জানানো ইউপি সদস্যরা হলেন- ১ নং ওয়ার্ডের মো. বাবুল, ২ নং ওয়ার্ডের আবদুর রহিম, ৩ নং ওয়ার্ডের বশিরুল আলম শরীফ, ৫ নং ওয়ার্ডের এম. খোরশেদ আলম, ৬ নং ওয়ার্ডের ফরমান উল্লাহ, ৭ নং ওয়ার্ডের মাহমুদুল হক, ৮ নং ওয়ার্ডের মো. আইয়ুব, ৯ নং ওয়ার্ডের সেলিম উদ্দীন, সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পারভীন আক্তার এবং ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহনাজ বেগম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওকে দেওয়া অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, আমরা কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ। কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ওপর আমাদের আস্থা নেই। আমরা তার অপসারণ দাবি করছি। প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম ব্যাহত করেছেন ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি ঠিক মতো স্বাক্ষরও করতে পারেন না এবং নথিপত্র পাঠ করতে অক্ষম। যার কারণে পরিষদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি তিনি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন- যা তার অযোগ্যতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ও নিন্দনীয় অপরাধ। এমন আচরণ প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বের সাথে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকাণ্ড ও সাধারণ জনগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অনাস্থা প্রকাশের বিষয়টি গত ২০ ডিসেম্বর ইউএনও ইনামুল হাছানকে চিঠি দিয়ে অবগত করেছেন ওয়ার্ড সদস্যরা। 

তবে এখনও প্যানেল চেয়ারম্যানের অপসারণে কোন ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত না আসায় ইউপি সদস্যদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. ইনামুল হাছান বাসসকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দায়ের করার জন্য উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর (ইউডিএফ) রানাকে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

অনাস্থা প্রস্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর কলাউজান ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশিরুল আলম শরীফ বাসসকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মহোদয়কে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার জমা দেওয়া হবে। সেদিন আমাদের সঙ্গে ইউএনও মহোদয় শুনানি করবেন। তাই সোমবার পর্যন্ত আমরা ধৈর্য ধারণ করবো।