শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে জানান, আজ তাদের বিরুদ্ধে এই দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি জানান, ‘জিয়াউল আহসান নিজ নামে ২২ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন, গাইডলাইন অব ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রান্সজেকশন-২০১৮ ও এফইপিডি সার্কুলার-৬, অনুযায়ী বর্তমান অনুমোদিত সীমা লঙ্ঘন করে নিজ হিসেবে ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার জমা করে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করে স্ত্রী নুসরাত জাহানের সহযোগিতা ও যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করে, তার নামে ৮টি সক্রিয় ব্যাংক হিসেবে প্রায় ১২০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।’
মহাপরিচালক বলেন, একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে এই কাজে নিজ পদ ও অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০৯ ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের নামে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে, জিয়াউল আহসানের স্ত্রী নুসরাত জাহান নিজ নামে ১৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন। তার নামে ৪টি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২২ কোটি ৫০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। তিনি তার স্বামী জিয়াউল আহসানের সহযোগিতা ও পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই নুসরাত জাহান এবং জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ধারায় একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।