বাসস
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৩

উপকূলে জলযান চলাচলে সুবিধার্থে লাইট টাওয়ার ও সেল্টার

বরগুনার তালতলীতে একটি লাইট টাওয়ার ও বিশ্রামাগার স্থাপন করা হয়েছে। ছবি: বাসস

বরগুনা,  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : কুতুবদিয়াসহ উন্নত দেশের উপকূলে সমুদ্রগামী জলযানের চলাচলের সুবিধার্থে যেমন লাইট হাউজ থাকে তেমনি বরগুনা উপকূলে মাছ ধরার ট্রলার চলাচলের সুবিধার্থে বরগুনার তালতলীতে একটি লাইট টাওয়ার ও বিশ্রামাগার স্থাপন করা হয়েছে। এ লাইট টাওয়ারের সিগন্যাল লাইট দেখে তারা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী মোহনায় নির্মিত সেল্টার কাম রেস্টহাউজটি ভূমি উঁচুস্থানে তৈরি করা হয়েছে। তার পাশে ৫০ ফুট উঁচু লাইট টাওয়ারটি। দাতা সংস্থা দি শেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সহযোগিতায় সিবিডিপি নামের এনজিও এগুলো নির্মাণ করেছে। সার্বিক সহযোগিতা করেছে জাগোনারী, ঈশানা নারী ফাউন্ডেশন এবং আরএসডিও নামের এনজিও সমূহ। সম্প্রতি সেল্টার কাম রেস্টহাউজটি উদ্বোধন করা হয়।

জেলেরা জানান, ইলিশ শিকার করতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হন তারা। বিশেষ করে রাতে তীর খুঁজে না পেয়ে দিকভ্রান্ত হয়ে যান জেলেরা, ঘটে ট্রলারডুবি। এতে প্রাণ যায় অনেক জেলের। কারণ দুর্গম নদী ও সাগরের মাইলের পর মাইল কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ফলে ঝড় ও ঢেউয়ের কবলে পড়া জেলেদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই। বিপদের সময় তীরে ফিরতে পারলেও মাথা গোঁজার জায়গা ছিল না। এখন তো যাওয়ার একটা জায়গা হয়েছে। জাল ফেলে একটু বিশ্রামও নেওয়া যাবে।

বরগুনার ইলিশ রক্ষা কমিটির সভাপতি শাহাজান শেখ বলেন, ইলিশ মৌসুমে ঝড় হয়। হঠাৎ ঝড়ে আমরা পথ ভুলে যাই। কারণ রাতে আশপাশে কোনো সিগন্যাল বাতি থাকে না। তখন যাওয়ার জায়গা থাকে না। এখন সিগন্যাল বাতি দেখে তীরে ফেরা যাবে।

তালতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা জানান, লাইট টাওয়ারের সঙ্গে একটি সেল্টার কাম রেস্টহাউজ থাকায় জেলেরা সেখানে এসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। জেলেদের সুরক্ষায় ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।