বাসস
  ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৪

‘ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্যাটেজি’ সফল করতে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে জাইকার বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আজ জাপানকে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ‘পোর্ট স্ট্যাটেজি’ প্রণয়নে সরকারকে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা), বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের মেরিটাইম সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বন্দরগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্যাটেজি’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এবং যেহেতু সমুদ্রবন্দর ব্যবস্থাপনায় জাপানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ পোর্ট স্ট্যাটেজি প্রণয়নে জাইকাকে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা করার আহ্বান জানায় সরকার।

জাইকার সহযোগিতায় ‘ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্যাটেজি’ প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের মেরিটাইম সেক্টরে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই কৌশলপত্রের মাধ্যমে একটি সমন্বিত, শক্তিশালী ও যুগোপযোগী বন্দর কাঠামো গড়ে তোলা হবে। বন্দরকেন্দ্রিক সকল সেবাকে একটি প্লাটফর্মে আনতে মেরিটাইম সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করা হবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে গত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময়েও বাংলাদেশে কোনো সমন্বিত বন্দর ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়নি। প্রত্যেকটি বন্দর পৃথকভাবে তাদের কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। 

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এখন আধুনিক ও সমন্বিতভাবে কার্যকর বন্দর ব্যবস্থাপনা সময়ের দাবি। বিশ্বের বিখ্যাত বন্দরগুলো এখন অটোমেশনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর ফলে সেখানে বেশি বেশি বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে, বলেন তিনি।

জাইকার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্যাটেজি প্রণয়নে উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু জাপান সব সময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছে।

এ সময়, ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্যাটেজি প্রণয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে জাইকার প্রতিনিধি দল।

এর পাশাপাশি, বৈঠকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে আলোকপাত করা হয় এবং ২০৩০ সালের মধ্যেই মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে বলে বৈঠকে আশা প্রকাশ করা হয়।

বৈঠকে জাইকা, বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। 

এছাড়াও, বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।