শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : গণহত্যা ও জনবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে পুরস্কার বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আজম।
আজ রোববার সচিবালয়ের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের স্থগিত তালিকা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তালিকায় নাম থাকা কারো বিষয়ে গণহত্যা ও জনবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে পুরস্কার বাতিল করা হবে।
এ সময় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মফিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০২৪ এর জন্য তালিকা ঘোষণা করা হয়। এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কারো কারো বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা আসায় গতকাল তালিকা স্থগিত করা হয়। তিন কার্য দিবসের মধ্যে তালিকা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায় বাংলা একাডেমি।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, সম্প্রতি পুরস্কার ঘোষণার পর নানা পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পুরো ব্যাপারটি আমলে নেয়া হয়েছে। ঘোষিত তালিকাটি ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তালিকাটি পর্যালোচনা (রিভিউ) করা হচ্ছে। যে অভিযোগ সামনে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানত গত (জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে) গণহত্যা ও জনবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে যদি কারও সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়, এ ধরনের সরাসরি সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে নিশ্চয়ই পুরস্কার বাতিল করা হবে। তার পরিবর্তে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা যে কমিটি কাজ করছে সেই কমিটি দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, প্রথমত এটা আমাদের ভুল হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ঐতিহাসিকভাবে বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থার মধ্যেই তাড়াহুড়ো আছে। এটি অসংখ্য কারণে করা হয়েছে। এটা এক দিনে হয়নি। দশকের পর দশক ধরে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ওই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এভাবে করা হয়েছে। বাংলা একাডেমির বিষয়ে খুব শিগগিরই একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হবে।ৃ